******************************
পিনাকী দত্তগুপ্তের কবিতা
এই অদ্ভুত সকাল
******************************
প্রতিদিন করাতের মত সূর্য আমাকে ক্ষত-বিক্ষত করে
প্রতিদিন করাতের মত সূর্য আমাকে ক্ষত-বিক্ষত করে
আজ এই অদ্ভুত সকালে তোমার সূর্য
কারাগারদের ফাঁক দিয়ে এসে
কি মমতায় আমার সারা দেহে খোদাই করে চলেছে
এক অনাস্বাদীত
মুক্তির মহাকাব্য -
কোনো একদিন আমিও সবুজ ছিলাম -
আজ শুধু ধুসর পান্ডুর হয়েছি -
আজ অদ্ভুদ সকালে তোমার প্রকৃতি কি অকাতরে
আমার সারা দেহে লেপে দিয়েছে গাঢ় সবুজতা -
আমার অস্থি,মেদ,মজ্জা,কোষ জুড়ে রয়েছে
হারিয়ে যাওয়া মুক্তির আবেশ -
কে তুমি?তোমাকেই কি খুঁজেছি আশৈশব,আকৈশোর
আর এই যৌবনের মধ্যাহ্নে এসে -
কিন্তু এই মুক্তির অনুভূতি এত ক্ষনিকের
এর পরেই তো আবার জীবন পথের বাঁকে বাঁকে ছড়িয়ে থাকা
সেই অতৃপ্তির লেখচিত্র -
তবুও বাঁচতে ইচ্ছে হয়
কারন পৃথিবীর আবর্তনে আবার হয়তো আসবে
এই অদ্ভুত সকাল আর তুমি
************************
অরিন্দম এর কবিতা
অন্য রূপকথা.......
***********************
মহীরূহ এক ধূ-ধূ তেপান্তরে
হদিশটা তার নেই তো কারও জানা-
রক্ত ডালিম ঠুকরোলে ব্যঙ্গমী,
ছড়িয়ে যাবে চুয়াল্লিশটি দানা...
হলুদ শাড়ি- নামছ সিঁড়ি ভেঙ্গে
শেষের বাঁকে লাজুক প্রেমিক একা-
চুয়াল্লিশের আগুন পলাশ তুমি,
ছলে-ছুতোয় করতে আসে দেখা।
ডালিম কুমার নিশুতি রাত জাগে
ঘুমিয়ে থাকে সারাটি দিনমান-
তোমার দু'চোখ গহন অতল দীঘি,
তোমার লেখা ছুঁয়েছে ওর প্রাণ...
বুকের মাঝে জ্বলছে তোমার ছবি
তুমিই জান- আর জানে না কেউ
জিভের সাথে জিভটি মিশে গেলে
ছলকে যাবে রক্তে লোনা ঢেউ।
পায়ের কাছে রূপোর কাঠি রাখা
সোনার কাঠি হারিয়েছে কোন কালে,
রাজার কুমার মেলতে পারে চোখ-
লাল ডালিমে তুমি কামড় দিলে...
তোমার কলম লিখছে উপন্যাস,
চাঁদের গায়ে চাঁদ লাগতে পারে-
অমানিশায় প্রেত যোনিদের ছায়া
ব্যঙ্গমা ওই উড়াল দিল দূরে।
ডালিম কুমার সুয়োরানির ছেলে
নির্বাসনে আছে নিরুদ্দেশে-
আঠাশ বছর শরীর ভোলা ঘুম,
জাগাও তুমি সুতীব্র আশ্লেষে...
আদিম গুহা লতা-পাতায় ঢাকা
ঊর্ণনাভ জাল বুনছে বসে,
উড়ো চিঠির নিত্য আনাগোনা-
মেধাবিনী তোমার চলভাষে।
সাপেরা সব ছাড়ছে খোলস দেখ,
দুয়োরানির উথলোয় বুক বিষে-
ছাতিম মাদক অলৌকিক ঘ্রাণ
উদ্ভাসিত মায়াবিনী, তুমি চুয়াল্লিশে...
ডালিম ঘুমোক রূপকথাকে ছুঁয়ে,
দ্বন্দ্ব-দ্বিধা রেখ না পিছুটান-
আলতা নদীর কাকচক্ষু জলে
যুবার সাথে করবে নিবিড় স্নান?...